, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ১১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


ভুল রক্ত প্রয়োগে গর্ভেই মারা গেল শিশু

  • আপলোড সময় : ২৬-০৯-২০২৪ ০৩:৪২:৫৫ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৬-০৯-২০২৪ ০৩:৪২:৫৫ অপরাহ্ন
ভুল রক্ত প্রয়োগে গর্ভেই মারা গেল শিশু
এবার নাটোরের গুরুদাসপুরে নিউ আলপনা ক্লিনিকে সাথী বেগম নামের এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর শরীরে ভুল গ্রুপের রক্ত প্রয়োগের ফলে গর্ভে থাকা আট মাস ২১ দিনের শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্লিনিকটিকে সিলগালা করা হয়েছে। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ক্লিনিকটি সিলগালা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এদিকে ক্লিনিকটিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুজাহিদুল ইসলাম, গুরুদাসপুর থানার উপপরিদর্শক মো. মাসুদ রানা। ভুক্তভোগী সাথী উপজেলার সাবগাড়ী গ্রামের মো. সালামের মেয়ে ও খাইরুল ইসলামের স্ত্রী।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে রক্তশূন্যতা দেখা দেওয়ায় গুরুদাসপুর পৌর সদরের চাঁচকৈড় বাজারের নিউ আলপনা ক্লিনিকে অন্তঃসত্ত্বা সাথীকে ভর্তি করান তার স্বামী খায়রুল ইসলাম। সেখানে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করে ‘এ’ পজিটিভ বলা হয়। তাৎক্ষণিক ‘এ’ পজিটিভ গ্রুপের এক ব্যাগ রক্ত সাথীর শরীরে প্রয়োগ করে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। রক্ত প্রবেশের পরপরই তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয় এবং শরীরজুড়ে লাল চাকার মতো হয়ে যায়। একপর্যায়ে বন্ধ হয়ে যায় গর্ভের শিশুর নড়াচড়া।

এদিকে পরিস্থিতি খারাপ হলে পরদিন ২৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে স্ত্রী সাথীকে গুরুদাসপুরের হাজেরা ক্লিনিকে ভর্তি করেন খাইরুল ইসলাম। সেখানে পরীক্ষার পর জানতে পারেন স্ত্রীর শরীরে ভুল রক্ত প্রয়োগ করায় গর্ভের সন্তান মারা গেছে।

গুরুদাসপুরের হাজেরা ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিরুল ইসলাম জানান, ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ওই নারীকে আমাদের ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর পুনরায় রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করে দেখা যায়, অন্তঃসত্ত্বা নারীর রক্তের গ্রুপ ‘ও’ পজিটিভ। অন্য ক্লিনিকে ভুল রক্ত প্রয়োগ করায় সাথীর শরীরে নানা ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে আমরা সোমবার রাত ৯টার দিকে সিজারের মাধ্যমে গর্ভের মৃত শিশুটি বের করি। উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার দুপুরে সাথীকে রাজশাহীতে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে ভুক্তভোগীর স্বামী খায়রুল ইসলাম জানান, মৃত সন্তানকে নিয়ে তিনি সোমবার রাতেই থানায় হাজির হন। পুলিশের পরামর্শে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। বর্তমানে শিশুটিকে মর্গে রেখে স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে রয়েছেন তিনি। এ ঘটনায় তিনি নিউ আলপনা ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের বিচার দাবি করেন।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুল ইসলাম জানান, ক্লিনিকটি সিলগালা করা হলেও কর্তৃপক্ষ পলাতক থাকায় অন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। এ ছাড়া গুরুদাসপুরের বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে নিয়মিত অভিযান চালানো হবে। গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সরোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। শিশুটির ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রথম চালানে ভারতে গেল ১২ টন ইলিশ

প্রথম চালানে ভারতে গেল ১২ টন ইলিশ